অনুজ প্রতি
কোন এক প্রাতে নবারুন সাথে পড়েছিল পদ চিহ্ন
জানিনা এ তীর্থ, হলো কি ব্যর্থ, কুলষিত নাকি ধন্য ।
কাটিতে সে ঘোর কয়েকটি প্রহর, মধ্যহ্ন হল পার
স্মৃতি গুলি যত, এলোমেলো তত, বিক্ষিপ্ত অসার ।।
পিছে কেউ নাই, কাটাতে সময়, অনুভবি শত যাতনা
তার পর হায় হিমেল হাওয়ায় তোমাদের পদ চারনা ।
ভুলে গেনু সব, করি কলরব, আনন্দে উঠি মাতি
স্মৃতির ব্যজন নয় অকারন, এই তো জীবন গীতি ।।
ছিল সাথে যারা, চলে গেল তারা, কয়ে অব্যক্ত কিছু কথা
আজি সে ভাষা, অশ্রুতে ভাসা,প্রাণে রয়ে গেল ব্যাথা ।
আবার ভাবি অমূলক সবি, এ ছিল শুধু সময়ের দাবী
অমোঘ নিয়মের শিকলে বাঁধা ধরনীর যা কিছু সবি ।।
জানিনা কি পেয়েছি, যা পেয়েছি তা তোমাদের থেকে পাওয়া
হয়তো সে তা খুব বেশি, দেয়ার চেয়ে নেওয়া ।
ঋনী হয়ে গেছি, এ কবিতা রচি শুধিতে ভীষন আসা
এছাড়া আমার কি আছে দেওয়ার, আর তা ভালোবাসা।।
হে বন্ধু, এতো সেই দিন আজিকে সে দিন ছেড়ে গেছিল তারা
হাত দু’টি ধরে অনুনয় করে, রাখিতে হয়েছে আত্মহারা
মিছে এ আবেগ, খরতর বেগ বুঝেছি সত্য নিত্য খেলা
সম্মুখে যে ধায় ফিরে নাই চায়, ব্যস্ত ত্রস্ত ভাসাতে ভেলা।।
পড়ন্ত বেলা সাঙ্গ হল খেলা, বসুধা ক্লান্তভার
পতঙ্গ বলাকা মেলে দু’পাখা, খুজিছে নিলয় তার ।
সমুখে আঁধার এ দায়িত্ব ভার, জ্বালাতে সেথা বাতি
হয়ে নিজে আলো ঘুচিবে সে কালো, জাগাতে সুপ্ত জাতি ।।
বন্ধু আমার, কেন নির্বিকার? কেন ও মলিন মুখ?
কেন হতাশ? কেন দীর্ঘশ্বাস? মিছে কেন কর দুঃখ?
ছিলেম সাথে, রব আঁখি পাতে,পর কর নাকো হায়
ঝেড়ে ফেল জ্বালা, হাতে নাও মালা, হাসি মুখে দাও বিদায় ।।
০৬/০৫/২০০৬ ইং
No comments:
Post a Comment