জ্বিনরা তিন প্রকার
হযরত আবুদারদা (রাঃ)-র বর্ণনা, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
আল্লাহ তা'আলা জ্বিন সৃষ্টি করেছেন তিন প্রকারঃ এক প্রকার জ্বিন হল সাপ, বিছে ও যমীনের পোকা-মাকড়, আর এক প্রকার জ্বিন থাকে শূন্যে হাওয়ার মতো এবং শেষ প্রকারের জ্বিনদের জন্য রয়েছে (পরকালের) হিসাব ও আযাব । (১)
‘জ্বিনরা তিন প্রকার' বিষয়ক আরেকটি হাদীস
হযরত আবূ সালাবা খুশান্নী (রাঃ) বলেছেন যে জনাব রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ
জ্বিনরা তিন প্রকার- এক প্রকার জ্বিন হাওয়ায় উড়ে বেড়ায়, এক প্রকার জ্বিন হলো সাপ ও কুকুর এবং আরেক প্রকার জ্বিন এমন আছে যারা এদিকে সেদিকে চলাচল করে। (২)
আল্লামা সুহাইলী (রহঃ) বলেছেনঃ (উপরের হাদীসে উল্লেখিত) ওই শেষোক্ত শ্রেণীর জ্বিনরা নিজেদের রূপ বদলে বিভিন্ন আকার-আকৃতি ধারণ করতে পারে।
কিছু কিছু কুকুরও জ্বিন
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ কুকুররা এক প্রকার জ্বিন এবং এরা খুব দুর্বল শ্রেণীর জ্বিন। সুতরাং খাওয়ার সময় কারও কাছে কুকুর বসে গেলে তাকে কিছু দেওয়া অথবা সরিয়ে দেওয়া দরকার। (৩)
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ কুকুর হলো এক প্রকার জ্বিন। যখন ও তোমাদের খাওয়ার সময় আসবে তো ওকে কিছু দেবে। কেননা ওরও একটা প্রবৃত্তি আছে । (৪)
হযরত আবূ ক্বিলাবাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যদি এই কুকুররা এক মালূক (আল্লাহর সৃষ্টিজীব) না হত, তবে আমি এগুলোকে কতল করার নির্দেশ দিতাম, কিন্তু কোনও মালুককে বিলীন করে দিতে আমার ভয় হয়। তবে তোমরা ওগুলোর মধ্যে সমস্ত কালো কুকুরকে কতল করে দেবে, কেননা ওরা হলো এক প্রকার শয়তান। (৫)
প্রমাণসূত্রঃ
(১) মার্কায়িদুশ শায়তান, ইবনে আবিদ দুনইয়া, পৃষ্ঠা ২৩। আল-হাওয়াতিফ, ইবনে আবিদ দুনইয়া, পৃষ্ঠা ১১৩। আল-মাজুরূহীন, ইবনে আবী হাব্বান, ৩ঃ ১০৭। ডুবারানী, ২২৪২১৪। হাকিম, ২৪৪৫৬। বায়হাকী, আল-আসমা অসসিফাত, ৩৮৮। নাওয়াদিরুল উসুল, হাকীম তিরমিযী। কিতাবুল আযামাহ। দূররে মানসুর, ৩ঃ ১৪৭। আহাফুস সা-দাহ, ৭৪২৮৯। হাদীসে মুনকার মীযান আল-ইঅতিদাল । আল-জামিই আস-সগীর, হাদীস নং ৩৯৩১। আল-মুতালিবুল আলিয়াহ্, ৩৪০১। কানযুল উম্মাল, ১৫১৭৯, তাযকিরাতুল মাউযূআত, কইসারানী, ৪২৫। হিলইয়া, আবূ নুআইম, ৫ঃ ১৩৭। আল-জ্বামিই আল-কাবীর, ১০৩৬৭। ৩৬ (২) নাওয়াদিরুল উসূল। ইবনে আবী হাতিম। ত্ববারানী। আবূ আশ্-শায়খ। হাকিম। আল্-আসমা অস্-সিফাত, বায়হাকী। জামিই সগীর, হাদীস নং ৩৬৫১। মাজমাউয্ যাওয়ায়িদ, ৮ঃ ১৩৬। জামিই কাবীর, হাদীস নং ১০৩৬৭। দাইলামী, হাদীস নং ২৬৪৩, ২: ১২৩। কানযুল উম্মাল, ১৫১৭৮। আত্হাফুস্ সা-দাহী, ৭: ২৮৯। তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৬ ঃ ৪৮৭। মুস্তাদরক, ২ঃ৪৫৬। আল জামিই আস-সগীর, ৩৬৫১। ইবনে হিব্বান, ২০০৭। মুশাক্কাল আল-আসার, ৪:৯৫। মিশকাত ৪১৪৮। হিলইয়াহ্, আবূ নুআইম, ৫ : ১৩৭, ইবনে কাসীর, ৬:৪৮৭। কুরতুবী, ১:৩১৮।
(৩) আবূ উসমান সাঈদ ইবনুল আবূ আর-রাযী।
(8) আবূ উসমান সাঈদ ইবনুল আর-রাযী।
(৫) সহীহ্ মুসলিম, কিতাবুল মুসাকাত, হাদীস নং ৪৭। জামিই তিরমিযী, কিতাবুস সঈদ। আবূ দাউদ, কিতাবুল ইদ্বাহী। ইবনে মাজাহ্ কিতাবুস্ সঈদ। সুনানে নাসায়ী, কিতাবুস্ সঈদ । সুনানে দারিমী, কিতাবুস্ সঈদ। মুসনাদে আহমাদ, ৩ঃ ৩৩৩; ৪:৮৫, ৫:৫৪, ৫৬, ৫৭, ১৫৮। ত্ববারানী ও আবু ইয়ালা, হযরত আয়িশার বর্ণনায়। জামিই আস্-সগীর, হাদীস নং ৭৫১৪। সিহাহ্ ।
No comments:
Post a Comment