আপনজনদের সাথে Communication - EDUCATION

Breaking

Around the World

Friday, April 26, 2024

আপনজনদের সাথে Communication

 

ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত আমাদের জীবনের একটা বড় সময় আমরা পরিবারের সাথে থাকি আমরা জীবনে আমাদের পরিবারের সাথেই সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ করি পরিবারের ছোটদের সাথে বড়দের কমিউনিকেশন, আবার বড়দের সাথে ছোটদের কমিউনিকেশন, আত্মীয় স্বজনদের সাথে কমিউনিকেশন অথবা বন্ধুদের মধ্যে কমিউনিকেশন- এরকম প্রত্যেকটি সম্পর্কের সাথে কমিউনিকেশন জুড়ে আছে, কারণ কমিউনিকেশন এর মাধ্যমেই আমাদের সম্পর্কগুলো টিকে থাকে, দৃঢ় হয় আপনজনদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কিছু জিনিস মাথায় রাখলে ইফেক্টিভ কমিউনিকেশন সহজ হবে:

 

·         নিয়মিত খোঁজ নেওয়া এবং শেয়ার করা: যেহেতু পরিবারে কমিউনিকেশনেরধরাবাঁধা ফরম্যাট বা নিয়ম নেই, তাই অনেক সময় ঠিকমতো যোগাযোগ হচ্ছে কিনা, সেটাও বোঝা যায় না কিন্তু খুব সহজ একটি উপায় হচ্ছে, নিয়মিত শেয়ার করা এবং খোঁজ রাখা অনেক পরিবারে এসব তথ্য শেয়ারিং জোর করা হয়, এটা একদম উচিত না পরিবার আমাদের জন্য একটি নিরাপদ জায়গা, তাই বিশ্বাস এবং ভরসা তৈরি করতে হবে যেন নিজ থেকেই পরিবারের সদস্যরা শেয়ার করতে পারে


·         পারসোনাল স্পেস দেওয়া: অনেক সময় আমরা ভাবি, নিজের পরিবারের সদস্যদের পারসোনাল স্পেস দেওয়ার কিছু নেই, তাদের সবকিছুতেই পরিবারের সদস্যদের অধিকার আছে এই ধারণাটি বেশ ক্ষতিকর পরিবার কিংবা আপনজনদের মধ্যে পারসোনাল স্পেস খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাউকে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে জোর না করা, তার কোনো জিনিসে অনুমতি ছাড়া হাত না দেওয়া- এই বিষয়গুলো অবশ্যই মেইনটেইন করতে হবে


·         আন্তরিক ব্যবহার: আপনজনদের সাথে আন্তরিক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতেহবে আপনার পরিবারের মানুষই আপনার সাথে সবচেয়ে বেশি সময় কাটায়, তাইআপনার একটা কটু কথা কিংবা একটু খারাপ ব্যবহার কিন্তু আপনার পরিবারেরসদস্যদের উপর অনেক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে তাই যেকোনো পরিস্থিতিতেআপনার পরিবার এবং স্বজনদের সাথে আন্তরিক ব্যবহার করুন


·         নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ: পরিবারের সদস্যদের সাথে রাগারাগি করার অভ্যাস বর্জনকরুন যেকোনো পরিস্থিতিতে ঠাণ্ডা মাথায় কথা বলুন, আন্তরিকতার সাথে সমস্যা সমাধান করুন যদি মনে হয় যে একটি মূহুর্তে আপনি মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারছেন না, তখন প্রয়োজনে সময় চেয়ে নিন এবং যখন শান্তভাবে কথা বলতে পারবেন তখন কথা বলুন


বাবা-মা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান কিংবা বন্ধুবান্ধব- প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নিজের রাগ ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে যোগাযোগ করুন নয়তো এই সম্পর্কগুলোতে আপনার আচরণের জন্য যে ক্ষতি হবে, তা পূরণ করা কঠিন হয়ে যাবে


·         সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে: পরিবার কিংবা আপনজনদের সাথে কোনো সমস্যা তৈরি হতে পারে, বা কোনো বিপদের সিচুয়েশন আসতে পারে এরকম সময়ে আপনজনদের উপর দোষারোপ না করে, সবাই একসাথে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করুন কারো কোনো ভুল হয়ে থাকলে সমস্যা সমাধানের পর ঠাণ্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন, যাতে ভুলটা আবার না হয় মনে রাখবেন, সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে, আপনজনকে নয়


·         ক্ষমা চাইতে পারা: আমরা আপনজনদের কষ্ট দিয়ে ফেললেও ভাবি যে তারা এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু আপনি যদি কোনো ভুল করে ফেলেন, তাদেরকে কষ্ট দিয়ে কিছু বলে বা করে ফেলেন অবশ্যই তাদের কাছে সুন্দর করে ক্ষমা চাইতে হবে পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমা চাইলে আপনি ছোট হয়ে যাবেন না, বরং আপনার পরিবারে এই প্র্যাকটিসটা তৈরি হবে, যে ভুল হতেই পারে কিন্তু ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইলে সম্পর্কে কোনো তিক্ততা তৈরি হয় না


·         শিশুদের সাথে যোগাযোগ: পরিবারের ছোট সদস্যদের সাথে কথা বলার সময় বিশেষ খেয়াল রাখুন প্যারেন্টিং এর একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কমিউনিকেশন- parent to children এবং children to parent কমিউনিকেশন Early childhood development কমিউনিকেশন স্কিল তৈরি করতে হয়, তাহলে শিশু বড় হয়ে ইফেক্টিভ কমিউনিকেশনে দক্ষ হয়ে ওঠে এছাড়া, শিশুর বাবা মা তার সাথে যেভাবে যোগাযোগ করে, যে আচরণ করে- এগুলো তার পুরো জীবনে অনেক প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রভাব ফেলে তাই আপনার বাসায় যদি শিশু থাকে, তার সাথে বা তার আশেপাশে এমন কোনো আচরণ করবেন না কিংবা এমন কোনো কথা বলবেন না- যেটা তার মানসিকতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে




 

No comments:

Post a Comment