Communicating in Social Media - EDUCATION

Breaking

Around the World

Thursday, August 1, 2024

Communicating in Social Media

ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, টিকটক- একসময় সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমরা আমাদের

আসল জীবনের বাইরে একটা ছোট্ট অনলাইন জীবনকে বুঝতাম কিন্তু এখন সোশ্যাল

মিডিয়া আমাদের জীবনের সাথে একদম মিশে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ার আপনার ব্যক্তিত্ব,

আপনার বাস্তব জীবনের ব্যক্তিত্বকেই প্রতিনিধিত্ব করে

আমাদের বাস্তব জীবনে যেমন আইন-কানুন আছে, আইন কানুন না মানলে যেমন শাস্তি

আছে, সোশ্যাল মিডিয়ার পৃথিবীতেও এমন নিয়ম আছে এবং না মানলে শাস্তির ব্যবস্থাও

আছে তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিভাবে কমিউনিকেট করবো তা শেখা দরকার


নিজের প্রোফাইল কিভাবে সাজাবো?

নিজের নাম: আপনার নিজের পুরো নাম দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল খুলুন

প্রোফাইল পিকচার: প্রোফাইল পিকচার কিন্তু আপনার নিজের পরিচয় তাই এখানে অন্য

কারো ছবি ব্যবহার না করে, নিজের মার্জিত ছবি ব্যবহার করুন

Bio: বায়ো হচ্ছে প্রোফাইল পিকচারের ঠিক নিচের জায়গাটা এখানে নিজের সম্পর্কে সুন্দর

সুন্দর কথা লেখা যায় সংক্ষেপে নিজের ব্যক্তিত্ব, আগ্রহ, হবি ইত্যাদি তুলে ধরা যেতে পারে

Work & Education Info: নিজের work and education information যদি

সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া থাকে তাহলে আপনাকে খুঁজে পাওয়া সহজ হয় তাই এই তথ্যগুলো

সঠিকভাবে সেইভ করুন


Responsible posting and sharing:

ক্যাট ভিডিও, মিমস, বন্ধুদের আড্ডার ছবি, ফেসবুক ইন্সটাগ্রামে আমরা পোস্ট করি

কতকিছু আবার অন্যের পোস্ট করা কনটেন্ট শেয়ারও করি কী পোস্ট করা উচিৎ, কী পোস্ট

করা উচিৎ না বা কী শেয়ার করা উচিৎ বা কী শেয়ার করা উচিৎ না, এটা নিয়ে নিয়ম কেবল

একটাই Share and Post responsibly.

আপনি যখন কোনোকিছু পোস্ট বা শেয়ার করছেন তখন একবার ভেবে দেখুন, আপনি যা

পোস্ট বা শেয়ার করছেন এর প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে? এতে করে আপনার বা

আশেপাশের কারো ক্ষতি হবার সম্ভাবনা আছে কি? আপনার পোস্টটি কি কোনো ব্যক্তি বা

গোষ্ঠীর প্রতি কটাক্ষ বা বিদ্রুপ প্রকাশ করে? এই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে

কোনো সহিংসতা সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে কি? এই প্রশ্নগুলোর একটার উত্তরও যদি হ্যাঁ হয়

তাহলে হয়তো সেইসব বিষয় পোস্ট বা শেয়ার না করাই ভালো

অন্যের লেখা পোস্ট কপি পেস্ট করা, অন্যের আপলোড করা ছবি, ভিডিও ডাউনলোড করে

নিজের প্রোফাইল বা পেইজ থেকে আপলোড করা এগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে হরহামেশাই

হয় আপনি যদি কারো অনুমতি ব্যতীত তার লেখা, ছবি, ভিডিও বা অন্য যেকোনো ধরনের

কনটেন্ট তার পেইজ বা প্রোফাইল থেকে ডাউনলোড করে আপনার পেইজ বা প্রোফাইলে

আপলোড করেন তাহলে এটা এক ধরনের ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি থেফট আপনি দুটি কাজ

করতে পারেন যদি সেই পোস্টটি পাবলিক সেটিং পোস্ট করা হয়ে থাকে তাহলে সেটি

শেয়ার করতে পারেন অথবা যিনি পোস্ট করেছেন তার অনুমতি নিয়ে তাকে মেনশন করে

সেটা কপি পেস্ট করতে পারেন


দায়িত্বশীল কমেন্টিং:

সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করা ব্যতীত আরেকটা কাজ করতে আমরা খুব পছন্দ করি তা

হচ্ছে কমেন্ট করা বন্ধু বা কোন পাবলিক ফিগার এর পোস্ট আমরা কমেন্ট করে তাদের

পোস্টের প্রশংসা করি, জন্মদিনের অভিনন্দন জানাই, আর কখনো হাসি তামাশা করি কিন্তু

অনেক সময় কমেন্ট করতে গিয়ে আমরা মানুষকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেই তাই

ফানি কমেন্ট এবং বিব্রতকর কমেন্টের পার্থক্য জানাটা খুবই দরকার

ফেসবুক কমেন্টে সাইবার বুলিইং এর ঘটনাও অহরহ হয় বিশেষ করে যারা নিয়মিত কন্টেন্ট

তৈরী করেন বা চলচ্চিত্র বা ক্রীড়া জগতের কোনো তারকার কোনো পোস্টে প্রায়শই মানুষকে

তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়, তাঁদের দেহ, ধর্ম ইত্যাদি নিয়ে কটূক্তি করতে দেখা যায় এটা করা যে

কেবল অনুচিত তাই নয়, বরং রীতিমিত শাস্তিযোগ্য অপরাধ Cyber Harassment- এর

জন্য দেশে আইন আছে, ফেসবুকে আইন আছে

 

সোশ্যাল মিডিয়া মেসেজিং:

মেসেঞ্জারে প্রায়ই একটা মেসেজ আসে- হাই ভাইয়া, শুধু এটুকুই এরপর যদি রিপ্লাই দেয়া

হয়, হ্যালো তার পর তিনি বলবেন- কেমন আছেন? এভাবে আরো কয়েকটা মেসেজ আদান

প্রদানের পরে তিনি তার মূল বক্তব্যে আসবেন

 

আপনি যাকে মেসেজ করছেন, তাঁর কিন্তু ব্যস্ততা থাকতে পারে তাই তিনি আপনার সাথে

চ্যাট করবেন, এটা প্রত্যাশা করা একদমই ঠিক না আপনার যে কথা আছে সেটা একটি

মেসেজেই গুছিয়ে লিখে পাঠান


No comments:

Post a Comment