প্রথম অধ্যায়
১। কখন ঘুম থেকে উঠব?
ভোরে ঘুম থেকে উঠব।
২। কখন ঘুমোতে যাব?
বেশি রাত না করে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাব।
৩। ভোরে ঘুম থেকে উঠলে আর রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোলে কী হয়?
স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, বুদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
8। ঘুম থেকে উঠে কী কী কাজ করতে হবে?
বাথরুম সারতে হবে, দাঁত ব্রাশ করতে হবে, ভালভাবে হাত, মুখ, চোখ ধুতে হবে। নাস্তা খেতে হবে ও পড়তে বসতে হবে।
৫। দাঁত কীভাবে ব্রাশ করব?
টুথব্রাশ দিয়ে এবং টুথপেষ্ট বা টুথপাউডার দিয়ে ভালভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
৬। হাত দিয়ে কোন কিছু খাওয়ার আগে কী করতে হবে?
হাত দিয়ে কোন কিছু খাওয়ার আগে দুই হাত ভালভাবে ধুতে হবে। সাবান থাকলে সাবান দিয়ে ধুতে হবে।
৭। কোন কিছু খাওয়ার পর কী করতে হয়?
হাত ও মুখ ভালভাবে ধুতে হয়। কুলি করার সময় বেশি শব্দ করা যাবে না।
৮। হাত ভালভাবে না ধুয়ে খেলে কী হয়?
হাতের ময়লা খাবারের সাথে পেটে যায়। রোগ হয়।
৯। হাতের নখ কি লম্বা রাখা যায়?
হাতের নখ লম্বা রাখা ঠিক না। নখের মধ্যে ময়লা জমে। খাওয়ার সময় খাবারের সাথে নখের ময়লা পেটে যায়। রোগ হয়।
১০। সপ্তাহে ক বার নখ কাটতে হয়?
সপ্তাহে একবার হাত ও পায়ের নখ কাটতে হয়।
১১। মা যা খেতে দেন তাই খাওয়া কি ঠিক?
মা যেসব খাদ্য খেতে দেন সেগুলো আনন্দ মনে খেতে হয়।
১২। পিতা-মাতার আদেশ কীভাবে পালন করব?
করণীয়-বর্জনীয়
পিতা-মাতা যা করতে বলেন তা করব আর যা করতে মানা করেন তা করব না।
১৩। পিতা-মাতার সাথে কেমন ব্যবহার করব?
পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা করতে হবে। তাদের সাথে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা যাবে না।
১৪। পিতা-মাতা আমাদের কী চান?
পিতা-মাতা আমাদের ভাল চান।
১৫। আমাদের অসুখ হলে কে বেশি দুশ্চিন্তা করে?
আমাদের অসুখ হলে মা-বাবা বেশি দুশ্চিন্তা করে।
১৬। পিতা-মাতা কিসে বেশি খুশি হন?
আমাদের পরীক্ষার ফল ভাল হলে পিতামাতা বেশি খুশি হন।
১৭। মা-বাবার কাছে কোন জিনিস কীভাবে চাইব?
বিনয়ের সাথে নিচুস্বরে জিনিস চাইব।
১৮। কোন খাবার খেতে ইচ্ছে না হলে কী করব?
প্লেটে খাবার দেবার আগে মাকে জানাব যে আমার খেতে ইচ্ছে হচ্ছে না।
১৯। পিতা-মাতার উপর কি কখনও রাগ করা যায়?
পিতা-মাতার উপর কখনও রাগ করা ঠিক না।
২০। খাবার কি নষ্ট করা যায়?
খাবার নষ্ট করা কখনও ঠিক না।
২১। বড়দের সাথে কেমন ব্যবহার করব?
বড়দের শ্রদ্ধা করতে হবে। তাদের সাথে ভালভাবে কথা বলতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে।
২২।ছোটদের সাথে কেমন ব্যবহার করব?
ছোটদের আদর করব। তাদের সাথে খেলা করব। নিজের খেলনা বা অন্য জিনিস ছোটদের দেব।
২৩। কখন কখন দাঁত ব্রাশ করতে হয়?
সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাবার পূর্বে দাঁত ব্রাশ করতে হয়। বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে যাবার পূর্বে এবং কোন কিছু খাওয়ার পর বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাদ্য খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করতে হয়।
২৪। কখন গোসল করতে হয়?
দুপুরে বা সুবিধেমত সময়ে গোসল করতে হয়।
২৫। কীভাবে গোসল করতে হবে?
সমস্ত শরীরে পানি দিতে হবে। দাঁত, মুখ, নাকের ভেতর পরিষ্কার করতে হবে। সম্ভব হলে সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে।
২৬। গোসলের পর কী করতে হবে?
শরীর ভালভাবে মুছে ফেলতে হবে। নিজের কাপড় নিজে ধুয়ে নিংড়িয়ে শুকাতে দিতে হবে।
২৭। কেমনভাবে কথা বলতে হয়?
নরমস্বরে ও হাসিমুখে কথা বলতে হয়।
২৮। নিজের বই, খাতা, কলম, ব্যাগ কে গোছাবে?
নিজের বই, খাতা, কলম, ব্যাগ নিজেকে গুছিয়ে রাখতে হবে। স্কুলে যাবার পূর্বে এবং স্কুল থেকে ফেরার পূর্বে বই, খাতা, ব্যাগ ইত্যাদি সব ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে।
২৯। বই, খাতা ছেড়া কি ঠিক হয়?
বই, খাতা ছেড়া ঠিক না এতে অপচয় হয়। অপচয়কারীকে কেউ পছন্দ করে না।
৩০। বই, খাতা, পেন, ব্যাগ এসবের যত্ন না নিলে কী হয়?
বই, খাতা, পেন, ব্যাগ এসবের যত্ন না নিলে প্রয়োজনের সময় খুঁজে পাওয়া যায় না এবং লেখাপড়ার ক্ষতি হয়।
৩১। খাবার কে খাওয়ায়ে দেবে?
নিজের খাবার নিজে খেতে হবে। অন্যের হাতে খাবার খাওয়া ঠিক না।
৩২। প্লেটে কীভাবে খাবার তুলে নেব?
প্লেটে খাবার তুলে নেবার সময় হাত দিয়ে খাবার তুলে নেব না। চামচ দিয়ে খাবার তুলে নেব।
৩৩। লবণ কীভাবে নেব?
লবণ নেবার সময় চামচ ব্যবহার করতে হবে। হাত দিয়ে লবণ নেয়া যাবে না।
৩৪। খাওয়ার প্লেটে কি হাত ধোয়া যায়?
খাওয়ার প্লেটে হাত ধোয়া ঠিক না। আর খাওয়ার প্লেটে যদি হাত ধুতে হয় তবে তার পানি ফেলে দিতে হবে। খাওয়ার প্লেটে পানি রাখা ঠিক না।
৩৫। মাছের কাটা, মাংসের হাড় এগুলো কোথায় রাখব?
আলাদা কোন পাত্রে রাখব যাকে বৌন প্লেট বলে। বৌন প্লেটে পানি দেয়া ঠিক না।
৩৬। বৌন প্লেটের ময়লা বা প্লেট ধোয়ার পানি কোথায় ফেলব?
বৌন প্লেটের ময়লা বা প্লেট ধোয়ার পানি সব জায়গাতে ফেলা যাবে না। লোকজন যাতায়াত করে বা লোকের চোখ পড়তে পারে অথবা টিউবওয়েলের পাশে ফেলা ঠিক না। প্রথমে নির্দিষ্ট বাস্কেটে এবং পরে ডাষ্টবিনে ফেলতে হবে।
৩৭। খাওয়ার প্লেটে বেশি মাছ, মাংস, ভাত ইত্যাদি দিলে কী করব?
নিজে খাওয়ার আগে তা চামচ দিয়ে অন্য পাত্রে উঠায়ে রাখব। যে খাবার দেচ্ছে তার কাছে জিজ্ঞাসা করব এই অতিরিক্ত খাবার কী করব? হাড়িতে বা গামলায় নিজের হাতে কখনও খাবার তুলে রাখা ঠিক না।
৩৮। খাওয়ার সময় কি বেশি কথা বলা যায়?
খাওয়ার সময় বেশি কথা বলা ঠিক না। হাসি-তামাশা করা ঠিক না।
৩৯। বড় মাছ, মাংস বা ভাল খাবারের জন্য বাহানা করা কি ঠিক হয়?
কোন ভাল খাবার খাওয়ার জন্য বাহানা করা ঠিক না। কোন কিছু পাওয়ার জন্য বাহানা করা ঠিক না।
৪০। বাড়িতে কেউ বেড়াতে এলে নিজে ভাল খাবার খাব নাকি তাদের খেতে দেব?
ভাল খাবার সব সময় আত্মীয়দের দিতে হয়।
৪১। কেউ ডাকলে কী বলে সাড়া দেব?
জ্বি বলে সাড়া দেব।
৪২। লোকের সামনে নাকে, মুখে হাত দেয়া কি ঠিক হয়?
লোকের সামনে নাকে, মুখে হাত দেয়া ঠিক না। নাক বা মুখের ময়লা বের করা কখনও ঠিক না।
৪৩। হাঁচি-কাশি এলে কী করব?
হাঁচি-কাশি এলে মুখে রুমাল বা হাত দেব।
88। মানুষ কীভাবে অলস হয়?
নিজের কাজ নিজে না করলে মানুষ অলস হয়।
৪৫। অলস হলে কী হয়?
অলস হলে মানুষ উন্নতি করতে পারে না ও অসুস্থ হয়।
৪৬। মা-বাবাকে ঘরের কাজে কে সাহায্য করবে?
মা-বাবাকে ঘরের কাজে আমরা সাহায্য করব।
৪৭। বাড়ির সব কাজ কে কে করবে?
বাড়ির সব কাজ বড়দের সাথে আমরা করব।
৪৮। অন্যের ঘরে ঢুকতে হলে কী করব?
অন্যের ঘরে ঢুকতে গেলে সালাম দেব। অনুমতি নিয়ে ঢুকব।
৪৯। অন্যের কোন জিনিস প্রয়োজন হলে কী করব?
বিনয়ের সাথে চাইব। কাজ শেষ হলে তাড়াতাড়ি আবার ফেরত দেব। তবে সব জিনিস চাওয়া ঠিক না।
৫০। বেশি কথা বললে কী হয়?
বেশি কথা বললে ভুল বলা হয়ে যায়। বাজে কথা বলা হয়ে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment