১. ভার্বাল কমিউনিকেশন: আমরা সাধারণত সবচেয়ে বেশি কমিউনিকেশন করি ভার্বাল কমিউনিকেশনের মাধ্যমে। আমরা সাধারণত ভার্বাল কমিউনিকেশন বলতে বুঝি সাধারণ কথাবার্তা বলা। কিন্তু ইফেক্টিভ ভার্বাল কমিউনিকেশন স্কিলস এর মধ্যে শুধুমাত্র কথাবার্তা বলা পড়ে না, এটার সাথে আরো কিছু বিষয় জড়িত। ইফেক্টিভ ভার্বাল কমিউনিকেশনের মাধ্যমে কীভাবে আপনি আপনার মেসেজটি ডেলিভার করছেন এবং কীভাবে অন্যরা সেটাকে রিসিভ করছে, সেটিও বোঝায়।
২. নন-ভার্বাল কমিউনিকেশন: যখন আমরা কোনো লিখিত বা মৌখিক শব্দ ছাড়া কোন শারীরিক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে মেসেজ বা বার্তা প্রকাশ করি অথবা রিসিভ করি তখন আমরা সেটাকে নন ভার্বাল কমিউনিকেশন বা অবাচনিক যোগাযোগ বলে থাকি। আমাদের আই কনট্যাক্ট, আমাদের গলার স্বরের ভলিউম, স্পিচ রেট, আমাদের personal appearance, personal space, proximity, touch- এই প্রত্যেকটি জিনিসই আসলে নন ভার্বাল কমিউনিকেশনের অংশ।
৩. রিটেন কমিউনিকেশন: একটি ইমেইল, রিপোর্ট অথবা ফেসবুক, টুইটার পোস্ট ইত্যাদি যাই হোক না কেন, সমস্ত ধরনের লিখিত যোগাযোগ খুবই স্পষ্টভাবে আদান প্রদান করাই হলো রিটেন কমিউনিকেশন বা লিখিত যোগাযোগ।
৪. এক্টিভ লিসেনিং: চিন্তা করুন, যদি আমরা আমাদের সাথে কমিউনিকেট করা ব্যক্তি বা আমাদের সাথে কথা বলতে আসা ব্যক্তির কথা আমরা না-ই শুনি বা না শুনতে চাই, তাহলে আমরা কমিউনিকেশন এর রেজাল্ট আশা করছি সেটা পাব না। কমিউনিকেশনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যিনি কথা বলছেন তার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করা, মনোযোগ দিয়ে তার কথা শোনা, তাকে কথার মাঝে interrupt না করা - এই ছোট কিছু কাজের মাধ্যমেই কিন্তু আপনি অ্যাক্টিভ লিসেনিং প্র্যাকটিস করতে পারেন। এই চার ধরনের কমিউনিকেশন কীভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা ব্যবহার করতে পারি, পুরো কোর্স জুড়ে আমরা সেটাই শিখবো।
No comments:
Post a Comment