Communication under Pressure - EDUCATION

Breaking

Around the World

Thursday, August 1, 2024

Communication under Pressure

আমাদের জীবনে ভালো সময়ের পাশাপাশি স্ট্রেসফুল এবং কঠিন সময়ও আসে কাছের

কাউকে কোনো দুঃসংবাদ দেয়া, কোনো বিপদের মূহুর্তে যোগাযোগ ঠিক রাখা, এমনকি

কাছের কাউকে ফিডব্যাক দেয়াও অনেক সময় খুব কঠিন কাজ বলে মনে হয় এই

ব্যপারগুলো আমাদের মানসিক শান্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে তাই এরকম কঠিন

পরিস্থিতিতে কীভাবে সহজে যোগাযোগ করা যায়, তাই নিয়েই আমাদের আজকের লেকচার


কাউকে দুঃসংবাদ দেওয়া:

প্রথমত, এরকম সিচুয়েশনে যতটা সম্ভব নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন হাইপার না হয়ে

প্যানিক না করে ঠাণ্ডা মাথায় পুরো বিষয়টাকে বোঝার চেষ্টা করুন কারো পরীক্ষার রেজাল্ট

খুব খারাপ হয়েছে যেমন একটা দুঃসংবাদ, কারো কাছের কেউ মারা গেছেন সেটাও কিন্তু

একটা দুঃসংবাদ এই সময়গুলোতে সিচুয়েশনের গাম্ভীর্য বুঝে কমিউনিকেট করবেন যাকে

দুঃসংবাদ দিচ্ছেন, চেষ্টা করবেন তার জন্য যতটা সম্ভব কোমলভাবে কথা বলে তাকে সংবাদটি

দেওয়া কাউকে দুঃসংবাদ দেয়ার পাশাপাশি তাকে উপদেশ দিবেন না, সে হয়তো সেই মূহুর্তে

উপদেশ শোনার মতো অবস্থায় থাকবে না

কোনো দুঃসংবাদ দেওয়ার সময় কোন কোন ধরনের ইমোশনের প্রকাশ হতে পারে, যেমন রাগ,

কান্নাকাটি- এই ব্যাপারগুলো মাথায় রেখে সংবাদ দিন এবং তাদের সাথে থাকুন, সহমর্মিতা

প্রকাশ করুন অনেক সময় আপনার উপস্থিতিই তাদের জন্য যথেষ্ট, কিছু না বলেও আপনি

সান্ত্বনা দিতে পারেন


Communicate in a Crisis Situation:

আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে অনেক ধরনের ক্রাইসিস তৈরি হতে পারে - সম্পর্কের ভাঙ্গন,

আর্থিক অসঙ্গতি, চাকরি চলে যাওয়া, কেউ হারিয়ে যাওয়া ইত্যাদি যেকোনো ব্যক্তিগত

ক্রাইসিস আসলে আমাদের জীবনে অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে, মানসিক ক্ষতি করতে

পারে

এরকম কোনো পরিস্থিতিতে, আপনি নিজে দুশ্চিন্তা করলেও, সেটা আপনার আশেপাশের

মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে না বরং, পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন,

সব তথ্য আপনার কাছে রাখুন আপনার আশেপাশের যারা এই পরিস্থিতিতে জড়িত, তাদের

সাথে পুরো পরিস্থিতি শেয়ার করুন

বিপদের মুখে ভেঙ্গে না পড়ে মনে সাহস রাখুন, আশেপাশের মানুষকেও আশা ভরসা দিন

একটা বিপদের দিনে আসলে যোগাযোগ রক্ষা করলেও অনেক সময় কাছের মানুষদের সাথে

নিয়ে বিপদ মোকাবিলা করা যায়


Give constructive feedback:

কোনো প্রফেশনাল সিচুয়েশনে আমরা কাজের উপর ফিডব্যাক দেওয়া-নেওয়ার ব্যাপারটাকে

খুব স্বাভাবিকভাবে দেখা হয় কিন্তু পারিবারিক বা সামাজিক জীবনে কাছের মানুষদের

ফিডব্যাক দেওয়া অনেক সময় স্বাভাবিকভাবে নেওয়া হয়না নিজের বাবা মা, ভাইবোন,

পার্টনার কিংবা আত্মীয়দের ব্যবহারে কষ্ট পেলেও আমরা মুখ ফুটে বলতে পারিনা

কিন্তু সামাজিক ক্ষেত্রেও ইফেক্টিভ কমিউনিকেশনের জন্য ফিডব্যাকের প্রয়োজনীয়তা

আছে


আপনজনদেরকে ফিডব্যাক দেওয়ার ক্ষেত্রে,

 

# তাদের সাথে বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি করুন এটা একদিনে হবে না, সময়ের সাথে

বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে বিশ্বাস থাকলে ফিডব্যাক দেওয়া নেওয়ার একটা

জায়গা তৈরি হয়

# কখন ফিডব্যাক দেবেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যাকে ফিডব্যাক দিচ্ছেন তার ব্যক্তিগত

জীবন বা প্রফেশনাল জীবনে যখন কোনো ঝামেলা চলছে, তখন আপনার ফিডব্যাক

তার উপর মানসিক স্ট্রেস বাড়াতে পারে এর পরিবর্তে, এমন একটা সময় বেছে নিন

যখন যাকে ফিডব্যাক দিচ্ছেন তিনি ঠাণ্ডা মাথায় আপনার কথা শুনতে পারবে

# যাকে ফিডব্যাক দিচ্ছেন, তাকে জিজ্ঞেস করুন এই মূহুর্তে সে সমালোচনা শুনতে চায়

কিনা সে যদি না চায়, তার সাথে কথা বলেই অন্য কোনো সময় নিয়ে নিন যখন এই

বিষয়ে কথা বলবেন

# ফিডব্যাক দেওয়ার সময়, তাকে প্রশংসা করে শুরু করুন, তারপর স্পেসিফিকভাবে

আপনার ফিডব্যাক বলুন এবং তা ফিক্স করতে কী করা যাবে- actionable করে

বলুন

ধরুন, সে খুব জোরে কথা বলে, যেটা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বেশ অশোভন হয়ে যায়

আপনি এই বিষয়ে ফিডব্যাক দিতে পারেন এভাবে - “তোমার সাথে কথা বলতে আমার

খুব ভালো লাগে, বিভিন্ন বিষয়ে তোমার থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি কিন্তু একটা

ব্যাপার, তুমি কথা বলার সময় মাঝে মাঝে একটু জোরে হয়ে যায়, আশেপাশের মানুষের জন্য

এটা অসুবিধা হতে পারে এরপর থেকে কথা বলার সময় তোমার সাথের

মানুষকে জিজ্ঞেস করতে পারো কথার স্বর ঠিক হচ্ছে কিনা

 

আবার যখন আপনার পরিবার কিংবা বন্ধুদের মধ্যে কেউ আপনাকে ফিডব্যাক দেবে, তাদের

উপর রাগ না করে বা দুঃখ না পেয়ে, বোঝার চেষ্টা করুন তারা কেন আপনাকে ফিডব্যাকগুলো

দিয়েছে তাদেরকে ফিডব্যাকের জন্য ধন্যবাদ দিন এবং সত্যিই যদি আপনার কোনো আচরণ

কারো অসুবিধার কারণ হয়ে থাকে, সেটি ঠিক করার চেষ্টা করুন

 

এভাবে, কঠিন সময়গুলোতে যথাযথ যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে সিচুয়েশনগুলোকে কিছুটা

হলেও সহজ করে তুলতে পারবেন


No comments:

Post a Comment