কাশফুলঃ - EDUCATION

Breaking

Around the World

Sunday, September 23, 2018

কাশফুলঃ


কাশফুল একধরনের ঘাসজাতীয় জলজ উদ্ভিদ।এর বৈজ্ঞানিক নাম Saccharum spontaneum (হিন্দি: काँस kāms, ওড়িয়া: kāśata অসমীয়া: কঁহুৱা, খাগৰী kahuwa, khagori)। এরা উচ্চতায় সাধারনত ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।নদীর তীরে ফুলফোটা শ্বেতশুভ্র কাশবন দেখতে খুবই সুন্দর।

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাসঃ
জগৎ:Plantae
(শ্রেণীবিহীন): Angiosperms
(শ্রেণীবিহীন): Monocots
(শ্রেণীবিহীন): Commelinids
বর্গ: Poales
পরিবার: Poaceae
গণ: Saccharum
প্রজাতি: S. spontaneum

বর্ণনাসম্পাদনাঃ
কাশফুল মূলত ছন গোত্রীয় এক ধরনের ঘাস। নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনো রুক্ষ এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে। তবে নদীর তীরেই এদের বেশি জন্মাতে দেখা যায়। এর কারণ হল নদীর তীরে পলিমাটির আস্তর থাকে এবং এই মাটিতে কাশের মূল সহজে সম্প্রসারিত হতে পারে। শরত ঋতুতে সাদা ধবধবে কাশফুল ফোঁটে। বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই কাশফুল দেখতে পাওয়া যায়। কাশফুল পালকের মতো নরম এবং রঙ ধবদবে সাদা। গাছটির চিরল পাতার দুই পাশ খুবই ধারালো।

ব্যবহারসম্পাদনাঃ
কাশফুলের বেশ কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে। যেমন- পিত্তথলিতে পাথর হলে নিয়মিত গাছের মূলসহ অন্যান্য উপাদান দিয়ে ওষুধ তৈরি করে পান করলে পিত্তথলির পাথর দূর হয়। কাশমূল বেটে চন্দনের মতো নিয়মিত গায়ে মাখলে গায়ের দুর্গন্ধ দূর হয়। এছাড়াও শরীরে ব্যথানাশক ফোঁড়ার চিকিৎসায় কাশের মূল ব্যবহৃত হয়।

সাহিত্য মাধ্যমেসম্পাদনাঃ
সাহিত্যে কাশফুলের কথা এসেছে নানাভাবে। রবীন্দ্রনাথ প্রাচীন গ্রন্থ ‘কুশজাতক’ কাহিনী অবলম্বন করে ‘শাপমোচন’ নৃত্যনাট্য রচনা করেছেন। কাশফুল মনের কালিমা দূর করে। শুভ্রতা অর্থে ভয় দূর করে শান্তির বার্তা বয়ে আনে। শুভ কাজে কাশফুলের পাতা বা ফুল ব্যবহার করা হয়।



অন্যান্য তথ্যসম্পাদনাঃ
প্রাগৈতিহাসিককাল থেকে বাংলাদেশ ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কাশফুল ছিল। কাশফুলের অন্য একটি প্রজাতির নাম কুশ। এরা দেখতে প্রায় কাশফুলের মতোই। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ‘পুরাণ’-এ কুশের স্থান খুব উঁচুতে। গ্রামের বাড়ি বা পুকুর পাড়ে ইচ্ছা করলে কাশফুল লাগান যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে কিছুটা ঠাণ্ডা ও বালু মিশ্রিত স্থান বেছে নিতে হবে।

No comments:

Post a Comment